অভিমানিনী
-সীমা চক্রবর্তী
ওপারের নরম ভোরাই আলো ক্রমশ গাঢ় হচ্ছিল,
এপার থেকেই অনুভব করেছি আমি..
মাঝখানে বন্ধ দরজা
আর অসংখ্য পেরেকের সালতামামি।
কানামাছি খেলতে খেলতে সে রঙ হয়েছে ফিকে,
কে কতদিন পারে এভাবে থাকতে টিকে…
অভিমানী হয়েছে মন
তবুও বোধ করিনি প্রয়োজন,
যদি খুলে ফেলি মাঝের আগল..
যদি দু’চোখে ভরে নিই সে আলো
তবে জনরব আঙুল তুলে প্রতিপন্ন করবে পাগল…
বুঝতে চেয়ে ঝোলায় ভরেছি অভিমান,
মুখ মুকুর ভেঙেছে খানখান…
আগন্তুক হয়ে ভিড় করেছে অনাহুত ভাবনারা,
তখনই শুনেছি প্রতীক্ষার কড়া নাড়া-
শান্ত পিছল রূপালী আলোয়
চাঁদ তার দলবল নিয়ে,
নক্ষত্রপুঞ্জের রেশমী চাদর জড়িয়ে
দাঁড়িয়ে ওপারে….
আমি এপারে…
মাঝখানে বন্ধ দরজা —
মনের সাথে মনের ঝঞ্ঝাটময় তরজা–
আর জমে ওঠা অভিমান,
রোমন্থনের আটখান…
ডায়েরির পাতায় নামে প্রতিশ্রুতির গ্লানি,
ফিরে যেতে যেতে জ্যোৎস্নার রূপ সুধা
মুছে হয় ম্লানই।
এপারেও আছে কত কথা
কত গল্প কাহিনি
কলমের ডগায় তারা পরিপাটি রূপসী মোহিনী,
জানিয়েছে কত ভুড়ি ভুড়ি ফরিয়াদ
এবার তাদের মৃত্যু নির্ঘাত,
আরও কিছু অভিমান জমলেই হবো অভিমানিনী….
রুদ্ধ দরজাটা হবে অহল্যা —
আর বিচ্ছিন্ন সময় হবে দ্বার রক্ষাকারিণী!